হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৭ রবিউল আউয়াল মুসলিম উম্মাহর কাছে এক মহিমান্বিত দিন। এ দিনেই বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা.) পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন। এ দিন আমাদের জন্য আনন্দ ও উৎসবের নিদর্শন হলেও, এর গভীর তাৎপর্য রয়েছে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির মধ্যে।
মহানবী (সা.)-এর আগমন কেবল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়; বরং এটি মানবজাতির জন্য ছিল সত্য, ন্যায়, দয়া ও শান্তির আলোকবর্তিকা। তিনি অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজে মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছেন, নিপীড়িতকে অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন, নারীর সম্মান নিশ্চিত করেছেন এবং ভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো-আজ আমরা কতটা তাঁর আদর্শ অনুসরণ করছি? সমাজে বিভেদ, হিংসা, দুর্নীতি, বৈষম্য ও অন্যায় কি আমাদের জীবন থেকে মুছে গেছে? যদি না যায়, তবে এ দিনটি আমাদের জন্য কেবল উৎসবের দিন নয়, বরং আত্মসমালোচনার দিন।
এই দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা করা উচিত-
নবীর জীবন ও আদর্শকে নিজেদের চরিত্রে ধারণ করা।
সত্য, ন্যায় ও মানবকল্যাণকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা।
সমাজ থেকে অন্যায়, অবিচার, বিদ্বেষ ও সহিংসতা দূর করতে সচেষ্ট থাকা।
ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা।
১৭ রবিউল আউয়াল আমাদের শেখায়, কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং আত্মবিশ্লেষণ ও বাস্তব জীবনে নবীর শিক্ষাকে অনুসরণ করাই প্রকৃত আনন্দ ও উৎসব।
সুতরাং, এ দিনকে উপলক্ষ করে আমাদের সবার অঙ্গীকার হোক—মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শকে অনুসরণ করে একটি ন্যায়ভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও মানবিক সমাজ গঠন করা।
আপনার কমেন্ট